ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ২০ বছরের এক তরুণীকে রাতভর নির্যাতনের পর গলা কেটে হত্যাচেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। তার দুটি আঙ্গুলও কেটে ফেলে তারা। মুমূর্ষু অবস্থায় পার্শ্ববর্তী এক বাড়িতে আশ্রয় নেন শ্বাসনালী কাটা ওই তরুণী।বুধবার ভোরে উপজেলার আউশিয়া গ্রামের খালধার পাড়ার একটি মেহগনি বাগানে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনার পর তার কথিত স্বামী হুসাইনসহ কয়েকজন গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে, তরুণীর স্বজন ও স্থানীয়দের ধারণা তাকে যৌন নির্যাতনের পর হত্যাচেষ্টা চালানো হয়।
নির্যাতিতার মা জানান, কাউকে না বলে গত ১৪ জানুয়ারি তার মেয়ে বাড়ি থেকে বের হন। তারা জানতে পারেন তরুণী মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার চন্ডখালী গ্রামের মৃত শাহাদত বিশ্বাসের ছেলে হুসাইন বিশ্বাসকে বিয়ের পর তার বোনের বাড়িতে অবস্থান করছেন। পরে বুধবার ভোরে মোবাইল আসে তার মেয়েকে গলা কাটা অবস্থায় আউশিয়া গ্রামে পাওয়া গেছে।
ওই তরুণীর দুলাভাই জানান, তার শ্যালিকাকে ১৯ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে স্বামী হুসাইন ঢাকা নিয়ে যাবে বলে বাড়ি থেকে কিছু স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে বের হন। তার অভিযোগ, হয়তো তাকে সারারাত শারীরিক ও যৌন নির্যাতন করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
মৃত্যুর হাত থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া বাড়ির মালিক জানান, বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তারা নামাজ পড়তে ঘর থেকে বের হলে দেখতে পান একটি মেয়ে গলাতে ওড়না পেঁচানো অস্পষ্ট ভাষায় বাড়িতে খবর দেয়ার কথা বলেন। এ সময় তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে ফরিদপুর মেডিকেলে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়।
এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, আউশিয়া গ্রামে এক নারীকে গলা কাটা অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা না গেলেও ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।